
ডিজিটাল হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র
- আপলোড সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০৪:৪১:২০ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৯-২০২৫ ০৪:৪১:২০ অপরাহ্ন


বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কর্মীদের জন্য নিরাপত্তা ছাড়পত্র (সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স) প্রাপ্তির প্রক্রিয়া এখন থেকে পুরোপুরি ডিজিটাল হবে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী ও বিদেশিকর্মীরা অনলাইনে আবেদন, নথি জমা ও অনুমোদন গ্রহণ করতে পারবেন। আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে এ প্রক্রিয়া কার্যকর হবে বলে গতকাল বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিডা। গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃসংস্থা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর (ডিআইপি), আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বিভিন্ন বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জানানো হয়, নিরাপত্তা ছাড়পত্রের জন্য প্রয়োজনীয় নথি যৌক্তিকীকরণ করা হয়েছে, যাতে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্কুলারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। নির্ধারিত নথি জমা দেওয়ার পরও ২১ কর্মদিবসের মধ্যে যাচাই শেষ না হলে আবেদনটি ‘নিরাপত্তা আপত্তি নেই’ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট ভিসার মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়বে। এছাড়া, বিদেশিকর্মী ও বিনিয়োগকারীদের ভিসা নবায়ন এবং ভিসা ফি প্রদানের প্রক্রিয়াও ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এসব সেবার জন্য আর সশরীর উপস্থিত থাকতে হবে না। শিগগিরই নতুন বিনিয়োগবান্ধব ভিসা নীতি চালুর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় ভিসা অন অ্যারাইভাল ফি অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে। পাশাপাশি একটি আন্তঃসংস্থাগত ইন্টার-অপারেবল তথ্যভান্ডার তৈরি করা হবে, যা বিদেশিদের আগমন ও অবস্থান পর্যবেক্ষণ এবং সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় আরও জোরদার করবে। বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তা ছাড়পত্র ডিজিটাল হওয়া একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে। সীমিত সময়ের মধ্যে আরও কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কর্মানুমতি ও ভিসা- সংক্রান্ত বেশ কিছু সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব হবে। তিনি জানান, এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যেমন বিডা নিয়মিত সমন্বয় সভা করে, তেমনই নিরাপত্তা ছাড়পত্র ও কর্মানুমতি-সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এখন থেকে মাসিক সভা করা হবে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ সেবায় কোনো অনিশ্চয়তা না থাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে সহজ ও কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে বিডার সঙ্গে সমন্বয় ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ